গর্ভবতী মা ও শিশুর মঙ্গলের জন্য যা জানা অত্যাবশ্যকীয়

আমাদের দেশে গর্ভধারণের প্রস্তুতি গ্রহণের ক্ষেত্রে সচেতনতা খুবই কম। এজন্য বেশিরভাগ নারীই বিভিন্ন শারীরিক/মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে। গর্ভধারণের সময়কাল ও এবং একজন সুস্থ-সবল শিশুকে জন্ম দেয়া পর্যন্ত মাকে অনেক কিছু মেনে চলতে হয়। আমরা চেষ্টা করেছি সবকিছু সহজ ভাবে তুলে ধরতে।

বি.এম.আই (BMI) ক্যালকুলেটর

বি.এম.আই শ্রেণীবিভাগ
< ১৮.৫ পাতলা
১৮.৫ – ২৪.৯ স্বাভাবিক ওজন
২৫.০ – ২৯.৯ অতিরিক্ত ওজন
৩০.০ – ৩৪.৯ মোটা টাইপ ১
৩৫.০ – ৩৯.৯ মোটা টাইপ ২
≥ ৪০.০ মোটা টাইপ ৩

ত্রৈমাসিক (ট্রাইমেস্টার) চার্ট

গর্ভাবস্থায় যখন একজন নারী মা হবার আনন্দে বিভোর থাকেন, ঠিক তখনি আবার নানারকম বিপদের কথা ভেবে থাকেন শঙ্কিত। গর্ভধারণ মানেই কম-বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা। তাই নিরাপদে মা হবার জন্য গর্ভবতী নিশ্চিত হওয়া মাত্রই গর্ভকালীন পরিচর্যা শুরু করে দিতে হবে এবং গর্ভকালীন শুরু থেকে প্রসবের কিছুদিন পর পর্যন্ত নিয়মিত গাইনী ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

img

প্রথম ট্রাইমেস্টার

০১ গ্রাম - ২৩ গ্রাম
img
  • ৪র্থ

    বাইরের খাবার বর্জন করুন

    আপনার খাবারের রুচি আগের চেয়ে কিছুটা বেড়ে যেতে পারে। টক,মসলাদার কিংবা মিস্টি জাতীয় খাবারের প্রতি আসক্তি দেখা দিতে পারে। পা ও কোমরে ব্যাথা এবং ঘুমের সমস্যা হতে পারে। এক্ষেত্রে হালকা ব্যায়াম, সাতাঁর কিংবা হাটাহাটি করতে হবে এবং অবশ্যই প্রচুর পানি পান করবেন। দাঁতের সঠিক যত্ন নিন।

    বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
  • ৫ম

    হালকা ব্যয়াম করুন

    আপনি গর্ভকলীন অর্ধেক সময় পেড়িয়ে এসেছেন। এ সময় আপনার ক্ষুধা বাড়তে পারে। বুকে জ্বালা পোড়া হলে একবারে বেশী খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে বার বার খেতে পারেন এবং বাইরের খাবার সম্পূর্ন বন্ধ করতে হবে। আপনি হয়ত বাচ্চার নড়াচড়া অনুভব করবেন এজন্য ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

    বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
  • ৬ষ্ঠ

    ডেলিভারীর স্থান ঠিক করুন

    এখন আপনার ওজন দ্রুত বাড়তে থাকবে। এ সময় বাচ্চা আপনার কথা শুনতে পায়। শরীরে স্ট্রেচ মার্ক হতে পারে বিশেষ করে পেটে এবং সাথে চুলকানিও হতে পারে। এজন্য লোশন অথবা ক্রীম মাখতে পারেন। পায়ে পানি আসতে পারে এবং মূত্রনালীর সংক্রমণও হতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করুন।

    বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন

দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টার

৫০ গ্রাম - ৮৫০ গ্রাম
img
  • ৭ম

    ডাক্তারের সংস্পর্শে থাকুন

    আপনি প্রসবকালীন সময়ের খুব কাছাকাছি চলে এসেছেন। অনেকেরই নির্ধারিত সময়ের আগেই কিছু লক্ষন দেখা দিতে পারে। যেমন কোমরে ব্যথা, পানি ভেঙ্গে যাওয়া কিংবা জরায়ু থেকে রক্ত বা পিচ্ছিল পদার্থ বের হওয়া এবং জরায়ুর সংকোচন ও প্রসারণ অনুভব করা। এই লক্ষনগুলো দেখলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

    বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
  • ৮ম

    সাবধানতা অবলম্বন করুন

    আপনি এখন গর্ভাবস্থার শেষ সময় পার করছেন সুতরাং দীর্ঘ ভ্রমন এড়িয়ে চলুন। হাত পায়ে অতিরিক্ত পানি আসলে কিংবা মাথাব্যথা ও চোখে ঝাপসা দেখলে দ্রুতই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। স্বাভাবিকভাবেই এখন প্রচুর সাদা স্রাব যেতে পারে কিন্তু যদি স্রাবের সাথে রক্ত যায় তাহলে বুঝতে হবে প্রসব ব্যথা শুরু হয়ে গেছে।

    বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
  • ৯ম

    সর্বদা প্রস্তুত থাকুন

    এই মাসের যেকোন দিন আপনার সন্তান দীর্ঘ অপেক্ষা পাড়ি দিয়ে এই পৃথিবীতে আসবে। অধিকাংশ সময় জন্মের নির্ধারিত সময়ের দুই-চার সপ্তাহ আগেই বাচ্চা জন্মগ্রহন করে থাকে, সেজন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে। আর অবশ্যই আপনাকে প্রসবের লক্ষণগুলোর দিকে খুব ভাল করে লক্ষ্য রাখতে হবে।

    বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
*মাস অনুযায়ী গর্ভাবস্থা

তৃতীয় ট্রাইমেস্টার

০১ কেজি - ৩.৫ কেজি